আমাদের দেহ জুড়ে অসংখ্য হাড়। এই হাড় গুলো আমাদের শক্তি যোগায়, হাঁটা চলাতে সাহায্য করে।
আমাদেরকে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে সহযোগীতা করে। নারীদের হাড় পুরুষের তুলনায় দূর্বল থাকে। তাই অবশ্যই এই বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।
নারীদের ত্রিশের পর থেকে আর পুরুষদের চল্লিশ এর পর থেকে হাড় দূর্বল হয়ে যায়। তবে খাওয়া দাওয়া, যত্ন, পারিবারিক বিষয় গুলো হাড় শক্ত রাখতেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
হাড় দূর্বল হয়ে যাবার কারণঃ-
১) পুষ্টিহীনতা, মাত্রাতিরিক্ত ডায়াবেটিস, পারিবারিক দৈহিক গঠনগত ত্রুটি, হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাবার নিয়ন্ত্রন।
২) ওজন কমানোর আশাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম, অশিক্ষা ও অভাব।
৩) অতিরিক্ত ওজন সম্পন্নদের হাড়ের উপর সব সময় চাপ পরে। দীর্ঘ বছর ধরে চাপ পড়ার জন্য হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
৪) পিরিয়ড বন্ধ হবার পর নারীদের হরমোনের (রক্তের জরুরী উপাদান) এর অসাম্যাবস্থার জন্য হাড় দুর্বল হয়।
৫) কম বয়সে অধিক সন্তান জন্মদানেও দেহের আয়রন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতিহয়ে, হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
৬) কিছু ওষুধের বা অসুখের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হাড় দুর্বল হতে পারে। যেমন, ক্যান্সারের রোগীদের কেমো থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হাড় ভঙ্গুর হয় (অনেকবার)।
হাড়ের দূর্বলতা প্রতিরোধে আমাদের করণীয়
১) পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সঠিক তথ্য হাড়কে দূর্বলতা থেকে রক্ষা করবে।
২) ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস সর্বদা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
৩) হঠাৎ খুব বেশী খাবার বা ওজন নিয়ন্ত্রণ অনুচিৎ।
৪) আপনার জানামতে নির্দিষ্ট কোন অসুখ থাকলে তার চিকিৎসা করান। যেমন, বাতের ব্যথা, প্যারলাইসিস, অষ্টিও আর্থ্রাইসিস।
৫) দেহের কোন হাড় ভেঙে গেলে, তা জোড়া লাগার পরেও দূর্বল হতে পারে। একটু হাটাচলা বেশী হলেই ব্যথা হতে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
৬) ছোট বেলা তৈকে পুষ্টিকর খাবার, শাক সব্জি, দুধ, দুধ জাতীয় খাবার, কাটাসহ ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, মাংস খাওয়া দরকার।
৭) সূর্যের আলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন ‘ডি’। এই ভিটামিন হাড় শক্ত হবার জন্য ভীষন জরুরি তাই গৃহবন্দি না থেকে সূর্যের আলোতে আসতে হবে।
লেখক,
—ডাঃ ফারহানা মোবিন,
বারডেম হসপিটাল।